ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নসহ ১১ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা , বৈদেশিক ঋণ সহতায় থেকে ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে  ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইনি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জমান সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জান সরকার বলেন, একটি একনেক বা মন্ত্রী পরিষদ বৈঠক হওয়া মানে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া নয়, এই বৈঠক হওয়া মানে একটি লম্ফ। এ অর্থবছর অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ বছর। সামনে আমরা এলডিসিতে উত্তরণ করছি। একনেকে প্রকল্প পাশ হওয়ার মধ্যদিয়ে প্রকল্প বাস্তববায়ন পর্যায়ে গেলে উন্নয়নকে আমরা এগিয়ে নিতে পারবো। আমরা উন্নয়নকে এগিয়ে নিতেই কাজ করে যাচ্ছি।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে-  ঢাকা অঞ্চলের কৃষির উন্নয়ন প্রকল্প। বরগুনা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।  রায়পুরা ১২০ মেগাওয়াট এসি পিক গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প। বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম স্থাপন প্রকল্প। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। কুমিল্লা-সালদা ও কসবা (সৈয়দাবাদ) সড়কে (এন১১৪) জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীত করা প্রকল্প। নগরাঞ্চলের ভবন সুরক্ষা প্রকল্প। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর তীর ভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়)(দ্বিতীয় সংশোধিত)  প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের  থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ প্রকল্প।